ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ২৯/০১/২০২৪ ১২:৪২ পিএম
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বুচিডংয়ে গতকাল ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। ছবি : সংগৃহীত

মিয়ানমারে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সংঘাতের জেরে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়তে পারে। রাখাইনসহ আশপাশ অঞ্চলের আরও চার লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে প্রবেশের সুযোগ করে দিতে টেকনাফ এবং উখিয়া ক্যাম্পের রোহিঙ্গারা অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি করতে পারে। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা এমন সব আশঙ্কা প্রকাশ করায় ক্যাম্পগুলোতে নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় ভারী অস্ত্র থেকে গুলি এবং মোটরশেলের শব্দ শোনা যাচ্ছে। দেখা যাচ্ছে আগুনের ধোঁয়া। এতে টেকনাফ এবং উখিয়া ক্যাম্পের রোহিঙ্গারা অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।

মিয়ানমারের বিভিন্ন প্রদেশে গত এক বছরের বেশি সময় ধরে চলে আসা সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের সংঘাত বর্তমানে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাখাইন পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। কদিন ধরেই সীমান্ত এলাকায় ভারী অস্ত্র থেকে ছোড়া গুলি এবং মোটরশেলের শব্দ শোনা যাচ্ছে। দেখা যাচ্ছে আগুনের ধোঁয়া।

আর এতেই শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার টেকনাফ এবং উখিয়ায় অবস্থানরত রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাত এখানে উস্কানি হিসাবে কাজ করতে পারে বলে শঙ্কা করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।

নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর অব. এমদাদুল ইসলাম বলেন, ‘সেখানে এক ধরনের নাশকতা হওয়ার আশঙ্কা আছে। কাজেই ক্যাম্পে নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে।’

২০১৭ সালের আগস্ট মাসে রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিরোধের জের ধরে প্রাণ বাঁচাতে আট লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে চলে আসে। অবশ্য এর আগেও বেশ কয়েকবার অনুপ্রবেশের মাধ্যমে লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এতে সব মিলিয়ে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অবস্থানের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ লাখের বেশি।

মিয়ানমার অংশে অবস্থানরত স্বজনদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন বাংলাদেশের ক্যাম্পের রোহিঙ্গারা। এ অবস্থায় অপ্রীতিকর ঘটনা সৃষ্টির চক্রান্ত রুখে দিতে ক্যাম্পে গোয়েন্দা নজরদারির পাশাপাশি নিরাপত্তা জোরদারে দেয়া হয়েছে নানা নির্দেশনা।

চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নূরে আলম মিনা বলেন, ‘থানা, সার্কেল, ফাঁড়ি, ক্যাম্প – তারাও খুব সতর্ক অবস্থায় আছে। আমরা এ মুহূর্তে এপিবিএনের সদস্যদেরও সতর্ক রেখেছি।’

বর্তমানে উখিয়ার কতুপালং হয়ে টেকনাফের উনচিপ্রাং পর্যন্ত বিস্তৃত ক্যাম্পগুলোর নিরাপত্তায় নিয়োজিত আমর্ড পুলিশের স্বতন্ত্র তিনটি ব্যাটেলিয়ন। একই সাথে একাধিক আনসার ক্যাম্প। তবে সাম্প্রতিক উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে আর্মড পুলিশের পক্ষ থেকে চেকপোস্ট বাড়ানো হয়েছে, পাশাপাশি ক্যাম্পের অভ্যন্তরে টহলও দিচ্ছে তারা।

এপিবিএন-৮ অধিনায়ক মোহাম্মদ আমির জাফর বলেন, ‘আমাদের চেকপোস্ট যেকোনো রকম মুভমেন্ট কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে। তো এখন পর্যন্ত আমরা সেরকম কোনো প্রতিক্রিয়া লক্ষ করিনি।’

আর ক্যাম্পে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকবার উদ্যোগ নিলেও শেষ পর্যন্ত তা সফল হয়নি।

পাঠকের মতামত

দিনে শেখ হাসিনার জন্মদিন পালনের নামে খাবার বিতরণ, রাতে ছাত্রলীগ নেতা আটক

শেখ হাসিনার জন্মদিন পালনের নামে উখিয়ার হলদিয়া পালং ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুসলিম উদ্দিন ...

উখিয়ায় জামায়াতের বিক্ষোভ: বিএনপি পিআর বুঝে না, প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি

কক্সবাজারের উখিয়ায় কেন্দ্রীয় ঘোষিত পাঁচ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও ...